ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত নফল কি জানুন

নামাজের ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত ও নফল কি জেনে নিন

    ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত নফল কি জানুন 

    ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত নফল কি জানুন  ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত নফল কি জানুন    আহকামে শরীয়াত    উপরের দলিলসমূহে বা বিধানসমূহে যে সকল নির্দেশ ও নিষেধমূলক বিধি-বিধান রয়েছে তাকেই পরিস্কারভাবে নির্দেশ করা হয়েছে তাই ফরজ। তা সকলের উপরে পালন করা বা মান্য করা কিংবা বিশ্বাস করা ফরজ। যারা তাকে অবিশ্বাস করবে তারা কাফের হবে। আবার ফরজ দু'ভাগে বিভক্ত, যথা- ফরজে আইন ও ফরজে কেফায়া ।    ১। ফরজে আইন  যে সমস্ত ফরজগুলি নারী- পুরুষ নির্বিশেষে সকলের উপর একইভাবে পালন করা বা মান্য করা অবশ্য কর্তব্য তাকে ফরজে আইন বলা হয়। এই ফরজগুলো একজনের আদায়ের দ্বারা অন্যের ফরজ আদায় হবে না বা জিম্মাযুক্ত হবে না, যথা- ঈমান আনা,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা, রোজা রাখা, যাকাত দেওয়া ও হজ্জ আদায় করা ইত্যাদি।     ২। ওয়াজিব যে সমস্ত বিধি বিধান কোরআন শরীফের অর্থবোধক আয়াত দ্বারা সুস্পষ্টভাবে হুকুম করা হয়েছে, তাকে ওয়াজিব বলা হয়। যথা- বিতরের নামাজ ও দুই ঈদের নামাজ ইত্যাদি। ওয়াজিবসমূহ ফরজের মত তবে অবিশ্বাস করলে ফাসেক হবে।      ৩। সুন্নাত  হযরত নবী করীম (সঃ) ফরজ এবং ওয়াজিব কার্যাদি ছাড়া যে সমস্ত কার্য সর্বদা নিজে আমল করেছেন এবং তাঁর উম্মতদেরকে আমল করতে আদেশ করেছেন তাকে সুন্নাত বলা হয়। এই সুন্নাত আবার দুই প্রকার- (১) সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ্ ও (২) সুন্নাতে গায়রে মোয়াক্কাদাহ্ ।   (১) সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ ঃ যে সমস্ত কার্যাদী নবী করীম (সঃ) সর্বদা নিজে আমল করেছেন, কোন সময় বিনা ওজরে তরক করেননি এবং উম্মতদেরকে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যথা : ফজরের ফরজের পূর্বে দুই রাকায়াত সুন্নাত, যোহরের ফরজের পূর্বের চার রাকয়াত সুন্নাত নামাজ ও পরের দুই রাকয়াত সুন্নাত নামাজ, মাগরিবের ফরজের পরে দুই রাকয়তা সুন্নাত নামাজ এবং এশার ফরজের পরের দুই রাকয়াত সুন্নাত নামাজ ইত্যাদি। সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ তরক করলে গুনাহগার হবে।  (২) সুন্নাতে গায়রে মোয়াক্কাদাহ : যে সমস্ত কার্যাদী নবী করীম (সঃ) সর্বদা করেছেন এবং কোন কোন সময় তা ওজর ব্যতীত তরকও করেছেন। যথা : এশরাক ও আউয়াবীন নামাজ ইত্যাদি।      ৪। নফল   যে সমস্ত কার্যাদী নবী করীম (সঃ) মাঝে মধ্যে করেছেন। উহা অতিরিক্ত ইচ্ছাকৃত কার্যাদী। উহা আমল করলে অনেক ছওয়াব পাওয়া যায়, না করলে গুনাহ হয় না কিন্তু নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়া যায় ও নৈকট্যতা লাভ হয়। যথা- সবে বরাত ও শবে কদরের নামজ ।



    আহকামে শরীয়াত



    উপরের দলিলসমূহে বা বিধানসমূহে যে সকল নির্দেশ ও নিষেধমূলক বিধি-বিধান রয়েছে তাকেই পরিস্কারভাবে নির্দেশ করা হয়েছে তাই ফরজ। তা সকলের উপরে পালন করা বা মান্য করা কিংবা বিশ্বাস করা ফরজ। যারা তাকে অবিশ্বাস করবে তারা কাফের হবে। আবার ফরজ দু'ভাগে বিভক্ত, যথা- ফরজে আইন ও ফরজে কেফায়া ।



    ১। ফরজে আইন


    যে সমস্ত ফরজগুলি নারী- পুরুষ নির্বিশেষে সকলের উপর একইভাবে পালন করা বা মান্য করা অবশ্য কর্তব্য তাকে ফরজে আইন বলা হয়। এই ফরজগুলো একজনের আদায়ের দ্বারা অন্যের ফরজ আদায় হবে না বা জিম্মাযুক্ত হবে না, যথা- ঈমান আনা,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা, রোজা রাখা, যাকাত দেওয়া ও হজ্জ আদায় করা ইত্যাদি।




    ২। ওয়াজিব

    যে সমস্ত বিধি বিধান কোরআন শরীফের অর্থবোধক আয়াত দ্বারা সুস্পষ্টভাবে হুকুম করা হয়েছে, তাকে ওয়াজিব বলা হয়। যথা- বিতরের নামাজদুই ঈদের নামাজ ইত্যাদি। ওয়াজিবসমূহ ফরজের মত তবে অবিশ্বাস করলে ফাসেক হবে।





    ৩। সুন্নাত


    হযরত নবী করীম (সঃ) ফরজ এবং ওয়াজিব কার্যাদি ছাড়া যে সমস্ত কার্য সর্বদা নিজে আমল করেছেন এবং তাঁর উম্মতদেরকে আমল করতে আদেশ করেছেন তাকে সুন্নাত বলা হয়। এই সুন্নাত আবার দুই প্রকার- (১) সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ্ ও (২) সুন্নাতে গায়রে মোয়াক্কাদাহ্ ।


    (১) সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ ঃ যে সমস্ত কার্যাদী নবী করীম (সঃ) সর্বদা নিজে আমল করেছেন, কোন সময় বিনা ওজরে তরক করেননি এবং উম্মতদেরকে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যথা : ফজরের ফরজের পূর্বে দুই রাকায়াত সুন্নাত, যোহরের ফরজের পূর্বের চার রাকয়াত সুন্নাত নামাজ ও পরের দুই রাকয়াত সুন্নাত নামাজ, মাগরিবের ফরজের পরে দুই রাকয়তা সুন্নাত নামাজ এবং এশার ফরজের পরের দুই রাকয়াত সুন্নাত নামাজ ইত্যাদি। সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ তরক করলে গুনাহগার হবে।

    (২) সুন্নাতে গায়রে মোয়াক্কাদাহ : যে সমস্ত কার্যাদী নবী করীম (সঃ) সর্বদা করেছেন এবং কোন কোন সময় তা ওজর ব্যতীত তরকও করেছেন। যথা : এশরাক ও আউয়াবীন নামাজ ইত্যাদি।





    ৪। নফল 


    যে সমস্ত কার্যাদী নবী করীম (সঃ) মাঝে মধ্যে করেছেন। উহা অতিরিক্ত ইচ্ছাকৃত কার্যাদী। উহা আমল করলে অনেক ছওয়াব পাওয়া যায়, না করলে গুনাহ হয় না কিন্তু নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়া যায় ও নৈকট্যতা লাভ হয়। যথা- সবে বরাত ও শবে কদরের নামজ ।




    LikeYourComment