কুফরী ও শিরক এর কতিপয় নমুনা - আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান

কুফরী ও শিরক এর কতিপয় নমুনা - আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান



    কুফরী ও শিরক এর কতিপয় নমুনা - আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান



    কুফরী ও শিরক এর কতিপয় নমুনা - আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান কুফরী ও শিরক এর কতিপয় নমুনা - আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান               কুফর  কুফর শব্দের আভিধানিক অর্থ হইতেছে অস্বিকার বা অবিশ্বাস করা। আর শরীয়াতের পরিভাষায় ইহার অর্থ হইতেছে এই যে, মানবগণকে যে সমস্ত বিষয়ের উপর ঈমান স্থাপন করিতে হবে। ইহার যে কোন একটিকে বা সমষ্টিকে অবিশ্বাস করা। সুতরাং শরীয়াত যে সমস্ত বিষয়কে পালন করা ফরজ করেছে তাকে বা উহার যে কোন একটিকে অবিশ্বাস ও অস্বীকার করলে কুফরী হবে। যে ব্যক্তি কুফরী করবে, তাহাকে কাফির বলা হয়, আর কাফির ব্যক্তি জাহান্নাম হবে ।  শিরক  শিরক শব্দের অভিধানিক অর্থ হইতেছে ‘অংশীবাদ'। আর ইসলামী পরিভাষায় মহান প্রভু আল্লাহ তায়ালার সহিত অন্য কাহাকেও সমকক্ষ মনে করাকে শিরক বলে।  আল্লাহ তায়ালার জাত অর্থাৎ সত্ত্বা এবং ছিফাতের অর্থাৎ গুনাবলীর সহিত তুলনা করা বা অংশিদার মনে করাও শিরক হবে। যাহারা শিরক এর গুনাহ করে তাহারা মুশরেক । মুশরিকগণ জাহান্নামী হবে।      কুফরী ও শিরক এর কতিপয় নমুনা      আল্লাহ তায়ালার ও তাঁহার রাসূলের (সঃ) কোন হুকুম আহকামকে অপছন্দ করা বা খারাপ মনে করা কিবা উহার কোন দোষ ত্রুটি বাহির করা, কোন নবী রাসূলকে বা ফেরেশতাগণকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মনে করা, তাহাদের উপর কোন প্রকার দোষারোপ করা অথবা কোন পীর মাশায়েখের উপর এইরূপ ধারণা রাখা যে, সে আমার খবরাখবর বা অবস্থা সর্বদা জানেন বা রাখেন। কোন গণক দ্বারা হাত দেখাইয়া নিজের বাগ্য সম্বন্ধে জ্ঞাত হওয়া তাকে বিশ্বাস করা। আলাহ তায়ালা ব্যতীত অন্য কোন শক্তির নিকট ধন-দৌলত, রুটী-রুজী ইত্যাদি প্রার্থনা করা। পীর বোজর্গ বা অন্য কারও নামে কোন গরু-ছাগল ছাড়িয়া দেওয়া বা মানত করা। আল্লাহ তায়ালা ও তাঁহার রাছুলের (সঃ) হুকুম-আহাকামের স্থানে অন্য কারও হুকুম, রাষ্ট্র পরিচালনা করা বা সামাজিক প্রথাকে অগ্রগণ্য মনে করা বা স্থাপন করা। কাহাকেও সম্মান প্রদর্শনের জন্য মাথা অবনত করা, আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারও নামে কোন পশু জবেহ করা বা সন্তান জিবিত থাকার জন্য কারও দোহাই দেওয়া, কাবা শরীফের মত অন্য কোন স্থানকে সম্মান বা তাজীম করা, কোন জীব জন্তুর ছবি ঘরে লটকাইয়া রাখা বা কোন পীর বোজর্গের ছবি বরকরে জন্য রাখা ও তাজীম করা ইত্যাদি।














    কুফরী 

    কুফরী শব্দের আভিধানিক অর্থ হইতেছে অস্বিকার বা অবিশ্বাস করা। আর শরীয়াতের পরিভাষায় ইহার অর্থ হইতেছে এই যে, মানবগণকে যে সমস্ত বিষয়ের উপর ঈমান স্থাপন করিতে হবে। ইহার যে কোন একটিকে বা সমষ্টিকে অবিশ্বাস করা। সুতরাং শরীয়াত যে সমস্ত বিষয়কে পালন করা ফরজ করেছে তাকে বা উহার যে কোন একটিকে অবিশ্বাস ও অস্বীকার করলে কুফরী হবে। যে ব্যক্তি কুফরী করবে, তাহাকে কাফির বলা হয়, আর কাফির ব্যক্তি জাহান্নাম হবে ।



    শিরক



    শিরক শব্দের অভিধানিক অর্থ হইতেছে ‘অংশীবাদ'। আর ইসলামী পরিভাষায় মহান প্রভু আল্লাহ তায়ালার সহিত অন্য কাহাকেও সমকক্ষ মনে করাকে শিরক বলে।

    আল্লাহ তায়ালার জাত অর্থাৎ সত্ত্বা এবং ছিফাতের অর্থাৎ গুনাবলীর সহিত তুলনা করা বা অংশিদার মনে করাও শিরক হবে। যাহারা শিরক এর গুনাহ করে তাহারা মুশরেক । মুশরিকগণ জাহান্নামী হবে।





    কুফরী ও শিরক এর কতিপয় নমুনা 





    আল্লাহ তায়ালার ও তাঁহার রাসূলের (সঃ) কোন হুকুম আহকামকে অপছন্দ করা বা খারাপ মনে করা কিবা উহার কোন দোষ ত্রুটি বাহির করা, কোন নবী রাসূলকে বা ফেরেশতাগণকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মনে করা, তাহাদের উপর কোন প্রকার দোষারোপ করা অথবা কোন পীর মাশায়েখের উপর এইরূপ ধারণা রাখা যে, সে আমার খবরাখবর বা অবস্থা সর্বদা জানেন বা রাখেন। কোন গণক দ্বারা হাত দেখাইয়া নিজের বাগ্য সম্বন্ধে জ্ঞাত হওয়া তাকে বিশ্বাস করা। আলাহ তায়ালা ব্যতীত অন্য কোন শক্তির নিকট ধন-দৌলত, রুটী-রুজী ইত্যাদি প্রার্থনা করা। পীর বোজর্গ বা অন্য কারও নামে কোন গরু-ছাগল ছাড়িয়া দেওয়া বা মানত করা। আল্লাহ তায়ালা ও তাঁহার রাছুলের (সঃ) হুকুম-আহাকামের স্থানে অন্য কারও হুকুম, রাষ্ট্র পরিচালনা করা বা সামাজিক প্রথাকে অগ্রগণ্য মনে করা বা স্থাপন করা। কাহাকেও সম্মান প্রদর্শনের জন্য মাথা অবনত করা, আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারও নামে কোন পশু জবেহ করা বা সন্তান জিবিত থাকার জন্য কারও দোহাই দেওয়া, কাবা শরীফের মত অন্য কোন স্থানকে সম্মান বা তাজীম করা, কোন জীব জন্তুর ছবি ঘরে লটকাইয়া রাখা বা কোন পীর বোজর্গের ছবি বরকরে জন্য রাখা ও তাজীম করা ইত্যাদি।



     আলোচক: আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান



    LikeYourComment