গীবত বা পরনিন্দা কাকে বলে What is slander or backbiting

গীবত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত, গীবত সম্পর্কে কুরআনের আয়াত, কোরআন হাদিসের আলোকে গীবত, গীবত বা পরনিন্দা কাকে বলে


    গীবত (পরনিন্দা) ও চোগলখোরী


















    পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ তা'আলা গীবত ও অন্যের দোষচর্চার ক্ষতির কথা অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বর্ণনা করে গীবতকারীকে আপন ভাইয়ের মৃতদেহের মাংস ভক্ষণকারীর সাথে তুলনা করেছেন । এরশাদ হচ্ছে ঃ

    ولا يغتب بعضكم بعضا ـ ايـحـب احـدكـم أن يـاكـل لـحـم




    তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কে কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে

    ঘৃণাই কর।' -সূরা হুজুরাত : ১২ রাসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেছেন

    كل المسلم على المسلم حرام دمه وماله وعرضه . - 'এক মুসলমানের অধিকার নষ্ট করা অন্য মুসলমানের জন্য

    হারাম—রক্তপাত করা, ধন-সম্পদ লুট করা, অপমান করা সবই হারাম।'

    তিনি আরও বলেছেন-

    ياكم والغيبة فان الغيبة اشد من الزنا . A

    - 'তোমরা গীবত (পরনিন্দা) থেকে বেঁচে থাক। কেননা, পরনিন্দা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য ।'

    এর কারণ হল, মানুষ ব্যভিচার করার পর আল্লাহ্র নিকট যদি সনিষ্ঠ তত্ত্বা করে, তবে আল্লাহ্ তা'আলা তার তওবা গ্রহণ করেন, কিন্তু গীবত বা পরনিন্দা হচ্ছে হক্কুল এবাদ; যার গীবত করা হয় যে পর্যন্ত সে ক্ষমা না করবে, এ অপরাধ মোচন হবে না। গীবতকারীর দৃষ্টান্ত হচ্ছে, যেমন কোন ব্যক্তি চক্ষু বন্ধ করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা চতুর্দিকে গোলা-বারুদ ছুঁড়ছে। বস্তুতঃ এভাবেই সে নিজের নেক আমলও ধ্বংস করছে। আল্লাহ্ তা'আলা কেয়ামত দিবসে গীবতকারীকে পুলসেরাতের উপর দাঁড় করিয়ে রাখবেন, যে পর্যন্ত আগুনের দহনে গীবতের কালিমা তার অন্তর থেকে দূরীভূত না হবে।

    আল্লাহর রাসূল (ছঃ) বলেছেন, 'গীবত হচ্ছে কারো অবর্তমানে তার ব্যাপারে এমন সব কথাবার্তা বলা, যা শুনলে সে মনোক্ষুণ্ণ হবে।' এসব দোষচর্চা দেহ, বংশ, কথা, কাজ, ধর্ম, দুনিয়া, আখেরাত, এমনকি তার পোশাক-পরিচ্ছদ এবং আরোহণের জন্তুর সাথেও যদি সম্পর্কিত হয়, তবুও তা গীবত বলে পরিগণিত হবে।

    পূর্বসূরীদের এক ব্যক্তি বলেছেন : যদি কারো সম্বন্ধে এ কথা বলা হয়, অমুকের শরীরের পোশাক লম্বা কিংবা খাটো, তবে এটাও গীবতের অন্তর্ভুক্ত। হবে। সুতরাং কারো পরিধেয় বস্ত্র সম্পর্কে এতটুকু বলার কারণে যদি গীবত হয়, তবে স্বয়ং ব্যক্তির দোষচর্চা ও সমালোচনা করা যে কত জঘন্য এবং মারাত্মক হবে তা বলাই বাহুল্য! 



    বর্ণিত আছে, একদা বেঁটে এক মহিলা নবী করীম (ছঃ) এর দরবারে কোন প্রয়োজনে হাজির হন। প্রয়োজন শেষে মহিলা বিদায় নেয়ার পর হযরত আয়েশা (রা) বললেন, মহিলাটি কি বেঁটে। রাসূলুল্লাহ (ছঃ) বললেন : 'হে আয়েশা। এ দ্বারা তুমি ওই মহিলার গীবত করলে।'

    রাসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেন, 'তোমরা অন্যের গীবত থেকে সব সময় নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা কর। কেননা, গীবতের ভিতর তিনটি মারাত্মক আপদ রয়েছে। এক, যে গীবত করে তার দোয়া আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় না। দ্বিতীয়, সে যে সব নেক আমল করে তাও আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। তৃতীয়, তাকে অগণিত পাপরাশির বোঝা বহন করতে হয়।

    রাসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি চোগলখোরী করবে কেয়ামতের দিন তার অবস্থা নিকৃষ্টতর হবে, এ দুনিয়ায় সে কিছু লোকের নিকট এক প্রকার বলত আবার অন্যের কাছে যখন বলত তখন পূর্বের বিপরীত বলে ফেতনা সৃষ্টি করত- এ ধরনের দু মুখো নীতির লোকদের শাস্তিস্বরূপ দু'টি আগুনের জিহ্বা হবে।

    রাসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেছেন—

    لا يدخل الجنة

    ——চোগলখোর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।'

    যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আল্লাহ্ তা'আলা এ জগতে অসংখ্য মাখলুক সৃষ্টি করে সকলকেই জিহ্বা প্রদান করেছেন ; তন্মধ্যে কিছু এমন আছে যারা বুঝিয়ে বলতে পারে আর কিছু আছে যারা বুঝিয়ে বলতে পারে না, কিন্তু মাছের মুখে কোন জিহ্বা নেই, এর কারণ কি? উত্তর হল, আল্লাহ্ তা'আলা হযরত আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর ফেরেশতাদের নির্দেশ দিলেন তাকে সেজদা করার জন্য। তখন ইবলীস ছাড়া সকলেই আদম (আঃ)-কে সেজদা করে। আল্লাহ্ তা'আলা ইবলীসকে শাস্তিস্বরূপ জান্নাত থেকে বের করে দেন। অতঃপর সে সমুদ্রের দিকে চলে যায়। সেখানে সর্বাগ্রে সাক্ষাৎ হয় মাছের সাথে। মাছকে আদম সৃষ্টির সংবাদ জানিয়ে ইবলীস বললো : 'তিনি সমুদ্র এবং স্থলভাগের প্রাণীদের শিকার করবেন।' ইবলীসের মুখে এ কথা শ্রবণ করে মাছ সমুদ্রস্থ অন্যান্য প্রাণীদের এ সংবাদ অবগত করায়। ফলে আল্লাহ্ তা'আলা মৎস্যকুলকে

    জিহ্বা থেকে বঞ্চিত করে দেন।

    মদীনার নিকটেই এক জনপদে বসবাস করত। একদিন তার ভগ্নী ভীষণ হযরত আমর ইবনে দীনার (রঃ) বলেন, মদীনাবাসী এক লোকের এক ভগ্নী ভীষণ


    রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। ভগ্নীর এ অবস্থায় সে প্রতিদিন সেবা-শুশ্রূষার উপস্থিত হতো। একদিন অকস্মাৎ তার ভগ্নী মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর পর যথারীতি তার দাফন সম্পন্ন করা হয়, কিন্তু দাফনের পর ভাইয়ের মনে আ টাকার একটি থলিও কবরস্থ হয়ে গেছে। প্রতিবেশী এক লোকের সহযোগিতায় অনিটি উঠিয়ে নেয়া হয়, কিন্তু তখন তারা কবরের মধ্যে প্রজ্বলিত আগুন করে। তাই সঙ্গে সঙ্গে ফিরে এসে মাকে বোনের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে মা বলল তোমার বোন পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে আড়ি পেতে তাদের কথাবার্তা শুনে অন্যের নিকট সে কথা পৌঁছিয়ে চোগলখোরী করত। একথা ভাই বুঝতে পারল -- ভগ্নীর কবরে আগুন কেন জ্বলছে। সুতরাং যে ব্যক্তি জাযাব থেকে নাজাত পেতে আগ্রহী, সে যেন কখনও গীবত চোগলখোরী :

    করে। একদা হযরত আবুল লাইস বুখারী (রঃ) হজ্জের উদ্দেশে বের হন। তাঁর দু'টি মাত্র দেরহাম ছিল। তিনি শপথ করে ওয়াদা করলেন, হজ্জের এ পবিত্র সফরে বাড়িতে ফেরা পর্যন্ত কোন এক মুহুর্তের জন্যও আমি কারো দোষচর্চায় লিপ্ত হলে আমি আমার নিকট রক্ষিত দেরহাম দু'টি আল্লাহ্ রাস্তায় দান করে। দেব। তাঁর ওয়াদা এতই মজবুত ছিল যে, তিনি হজ্জের পুরো সফর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে বাড়ি প্রত্যাবর্তন করেন এবং তাঁর দেরহাম দু'টি পকেটেই থেকে গেল । অর্থাৎ, এ দীর্ঘ সফরে তিনি কারও গীবত করেননি।

    হযরত ইবনে দীনারের নিকট পরনিন্দা সম্পর্কে এরূপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার বিশ্বাস, একশ' বার যেনায় লিপ্ত হওয়া যত জঘন্য, একবার গীবত বা পরনিন্দা তদপেক্ষা অধিকতর জঘন্য।'

    আবু হাফস কবীর (রঃ) বলেন, রমযানের পুরো একমাস রোযা না রাখা এতটুকু মারাত্মক নয়, যতটুকু মারাত্মক একজন লোকের গীবত করা।' তিনি আরও বলেন, যে লোক ধর্ম জ্ঞানে জ্ঞানী বা আলেম লোকের গীবত করবে, সে কেয়ামতের দিন এভাবে উঠবে যে, তার মুখমণ্ডলে লেখা থাকবে, আল্লাহ্র রহমত থেকে বঞ্চিত।' “এ ব্যক্তি

    হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেছেন, মেরাজের রাতে আমি এমন কিছু লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম, যারা (মর্মন্তুদ শাস্তিস্বরূপ) নিজেদের মুখমণ্ডল বিরাটকায় ধারালো নখ দিয়ে আঁচড়াচ্ছিল আর গলিত পচা লাশ খাচ্ছিল। জিবরাঈল (আঃ)-এর নিকট এদের সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বললেন : 'এরা দুনিয়াতে (অন্যের গীবত করে) মৃত ব্যক্তির গোশত খেত।


    হযরত হাসান (রঃ) বলেন, 'দেহের জন্য মারাত্মক ফোড়া যতটুকু ক্ষতিকর, ঈমানদারের জন্য অন্যের গীবত করা তার চেয়ে বহুগুণ বেশী ক্ষতিকর।'

    হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, 'মানুষের অবস্থা হল অন্যের দোষের প্রতি দৃষ্টি দিতে গিয়ে কারও চোখে যদি সামান্য কণা পড়ে, তাও বড় আকারে দৃষ্ট হয়, কিন্তু নিজের বেলায় বড় গাছের শাখাও ছোট করে দেখা হয়।

    এক সফরে হযরত সালমান ফারেসী (রাঃ), হযরত ওমর (রাঃ) ও আবু বকর (রাঃ) একসঙ্গে ছিলেন এবং প্রয়োজনে সালমান ফারেসী (রাঃ)-ই আহারের আয়োজন করতেন। এক স্থানে পৌছার পর খাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে হযরত সালমান (রাঃ) পাক করতে অনিচ্ছা ব্যক্ত করেন। এতে তারা রাসূলুল্লাহ (ছা)-এর নিকট থেকে খাওয়ার কিছু আনতে হযরত সালমানকে প্রেরণ করেন; কিন্তু সেখানেও খাওয়ার কিছু ছিল না। তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) ও ওমর (রাঃ) মন্তব্য করেন, ‘সে কোন কূপের নিকটে গেলেও সেটা শুষ্ক পাবে।' এ কথার উপর পবিত্র কোরআনের এ আয়াত অবতীর্ণ হয় :

    ..فكرهتموه.

    ولا يغتب بعضكم

    ——তোমাদের একে অন্যের গীবত করো না...। –সূরা হুজুরাত : ১২

    হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (ছঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কারও (গীবত করে তার) গোশত খেয়েছে, কেয়ামতের দিন তার সামনে গীবতকৃত ব্যক্তির মাংস দিয়ে বলা হবে, 'এ নাও, পৃথিবীতে জীবিত অবস্থায় যার মাংস খেয়েছিলে, এখন তার মৃতদেহের গোশত খাও। তাকে এ পচা মাংস ভক্ষণে বাধ্য করা হবে। অতঃপর নবী করীম (ছঃ) নিম্নোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করেন :

    ايحب احدكم أن يأكل لحم أخيه ميتا.

    কারণ।

    —তোমরা কেউ কি তোমার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে পছন্দ করবে?' হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছঃ)-এর যুগে গীবতের দুর্গন্ধ অনুভব করা যেত। কেননা, তখন গীবতের অস্তিত্ব ছিল নিতান্তই কম, কিন্তু এখনকার সময়ে গীবতের প্রাদুর্ভাবের কারণে লোকজন এতে এত বেশি অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে, দুগন্ধ অনুভূত হয় না। যেমন কোন অনভ্যস্ত ব্যক্তি যদি চামড়ার নামে যায়, তবে দুর্গন্ধের জন্য সেখানে অল্পক্ষণও অবস্থান করতে পারে না, কিন্তু যারা চামড়া শুষ্ককারী ব্যবসায়ী, তাদের অবস্থা এর সম্পূর্ণ বিপরীত, তারা চামড়ার উপর উপবেশন করে আহার করছে, তবুও অভ্যস্ত হওয়ার কারণে কোনরূপ দুর্গন্ধ তাদের অনুভূত হয় না। গীবতের অবস্থাও ঠিক অনুরূপ। হযরত কা'ব (রাঃ) বলেন, আমি কোন আসমানী কিতাবে পড়েছে, এমন এক মারাত্মক অভ্যাস, কেউ এ থেকে তওবা করে মৃত্যুবরণ করলেও সবার শেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর গীবতের পাপে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে সর্বপ্রথম জাহান্নামে প্রবশেকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ্ এরশাদ করেন—

    - প্রত্যেক অসাক্ষাতে ও সাক্ষাতে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ। -সূরা হুমাযাহঃ) যারা গীবত করে তাদের আযাব খুবই মর্মন্তুদ। 'হুমাযাহ' অর্থ অসাক্ষাতে নিন্দাবাদকারী, আর 'লুমাযাহ সাক্ষাতে নিন্দাবাদকারী।

    উপরোক্ত আয়াত ওলীদ ইবনে মুগীরা সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, সে রাসূলুল্লাহ (ছঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)-এর সম্মুখে তাদের নিন্দাবাদ করত। আয়াত যদিও এক ব্যক্তিকে উদ্দেশ করে অবতীর্ণ হয়েছে, কিন্তু এর বিধান সকলের জন্য ব্যাপক ।

    রাসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেন, 'তোমরা গীবত থেকে অত্যন্ত সাবধান থাক সম্পূর্ণরূপে তা পরিহার কর। গীবত যেনার চেয়েও মারাত্মক। কেননা, যেনাকারী আল্লাহ্র নিকট তওবা করলে তিনি মার্জনাও করে দিতে পারেন, কিন্তু গীবতকৃত ব্যক্তি মাফ করা ছাড়া আল্লাহ্ তায়ালা গীবতের গোনাহ মাফ করবেন না। অতএব, যদি কারো গীবত করে থাক, তবে প্রথমতঃ যার গীবত করেছ তার নিকট থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া কর্তব্য, তৎসঙ্গে কায়মনোবাক্যে আল্লাহ্র নিকট তওবা করা চাই, যাতে আল্লাহ্র নির্দেশের পরিপন্থী কাজের গুনাহও মাফ হয়ে যায়। তাহলেই পূর্ণ মুক্তির আশা করা যেতে পারে ।

    হাদীস শরীফে আছে, যে ব্যক্তি গীবত করবে, ‘কেয়ামত দিবসে তার চেহারা পিছন দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।

    গীবতকারী ব্যক্তির কর্তব্য হচ্ছে, মজলিস থেকে গাত্রোত্থানের পূর্বেই তওবা এস্তেগফার করা, যাতে যার গীবত করা হয়েছে তার নিকট নিন্দাবাদ পৌছার আগেই তওবা হয়ে যায়; এভাবে তার তওবা ত্বরিৎ কবুল হবে। নতুবা যার গীবত করা হয়েছে সে মাফ না করা পর্যন্ত এ অপরাধের ক্ষমা হবে না । তদ্রূপ কেউ কোন বিবাহিতা মহিলার সাথে যেনায় লিপ্ত হয়ে গেলে কেবল

    তওবা করলেই গুনাহ মাফ হবে না, যাবত সেই মহিলার স্বামী তাকে ক্ষমা না করবে।

    অতঃপর কেউ নামায, যাকাত, রোযা, হজ্জ না করে থাকলে তা থেকে তওবা করতে হবে এবং একই সাথে অতীত জীবনের পরিত্যক্ত সবগুলো কাযা করতে হবে, তবেই আল্লাহ্ তাআলার দরবারে ক্ষমার আশা করা যেতে পারে ।



    লিখার মধ্যে কোনো ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।







    LikeYourComment